মো: ইউসুফ আলীর পিতা লাল মিয়া একজন আওয়ামীলীগের কর্মী ছিলেন। তিনি ছিলেন পেশায় ব্যবসায়ী।
তার মাতা সবুরা খাতুন ছিলেন দক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য। ১৯৯১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৯ বছর তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত সুনামের সাথে। নিজ সাধ্যমতো সেবা করেছেন জনগণের। আর মো: ইউসুফ আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ২০১৬ সাল থেকে ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আছেন। এরই সূত্র ধরে আগামী আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৯নং দক্ষিন চর আবাবিল ইউনিয়ন পরিষদের আগামীর চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছেন তিনি।
তিনি বলেন, পরিবারের অন্য জনপ্রতিনিধির মতো আমিও জনগণের সেবা করতে চাই। যদিও এরই মধ্যে আমি লোকজনেক আমার সাধ্যমতো উপকার করে আসছি। কেউ কোন সমস্যায় পড়লে আমার কাছে আসলে আমার যতটুকু সম্ভব হয় তাদের পাশে দাঁড়াই।তিনি আরও বলেন, আমি লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবি সহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত আছি। এছাড়া আমি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি সহকারী সমিতির সদস্য। বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের এপিপি এড. হুমায়ূন কবির হাওলাদারের সেরেস্তাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেছি। আমার এলাকার কোন ব্যক্তি যদি আইনি কোন জটিলতায় পড়েন তাহলে আমার কাছে আসলে আমি কম খরচে তাদের আইনী সেবা প্রদান করি। কর্মের বাহিরেও সেবাদানের চেষ্টা করি। এলাকায় অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছি আমার সাধ্যমতো। আর্থিক সহযোগীতাও করেছি তাদের। তিনি বলেন, আমি এলাকার সামাজিক কর্মকান্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই। থাকতে চাই জনগণের কাছাকাছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ কমিটির দায়িত্বে রয়েছি।
তিনি জানান, ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বায়তুস সালাম জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক দায়িত্বে রয়েছেন এবং উদমারা ব্রীজ সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এসব প্রতিষ্ঠানে তিনি আর্থিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ইউসুফ আলী কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা ঠিকমতো জনগণের পাশে থাকলে তাদের দুর্ভোগ কিছুটা কমতো। দেখা গেছে অনেকে সেবার দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অতিদরিদ্র জনগোষ্টির জন্য বরাদ্ধকৃত সরকারী অনুদান যদি সঠিকভাবে বন্টন হতো তাহলে দরিদ্রদের উপকার হতো। কিন্তু দেখা যাচ্ছে দরিদ্ররা এ সব সেবা নিচ্ছে অর্থের বিনিময়ে। যেমন, বিধবা বা বয়স্ক ভাতার ক্ষেত্রে কার্ড তৈরীর ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের অর্থ দিতে হচ্ছে। কিন্তু আমি জনপ্রতিনিধি হলে এলকার দারিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য সরকরারী বরাদ্দের সুষম বন্টনের ব্যবস্থা করবো। এছাড়া কার্ড তৈরীতে যেন কোন অর্থ বা হয়রানির শিকার না হতে হয় সে ব্যবস্থ্য করবো তাদের জন্য। বলেন, গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের সরকারী বরাদ্দের হরিলুট হচ্ছে। সড়ক নির্মাণে বা সংস্কারে রবাদ্ধকৃত অর্থ যদি সঠিকভাবে ব্যয় করা হতো তাহলে টেকসই উন্নয়ন হতো। জনপ্রতিনিধি না হওয়া স্বর্তেও আমি এলাকার একটি সড়ক সংস্কারের জন্য অর্থনৈতিক সহযোগীতা করেছি। আর জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার করবো এবং টেকসই উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করবো।
আমি জনগণের পাশে থাকতে চাই, সেজন্য আমাকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। আর আমার প্রিয় সংগঠন আওয়ামীলীগ থেকেও যেন আমাকে দলীয় সমর্থন দেয়। আমার কর্মকান্ডে এলাকাতে দলীয় ভাবমূর্তি উজ্জল হবে বলে আমি আশাবাদি। ইউছুফ আলী আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।